ঢাকা | শুক্রবার | ৫ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
শিক্ষাক্যাম্পাসনারী-পুরুষ সমতা নয়- ন্যায্যতা দিতে হবে: জবি উপাচার্য

নারী-পুরুষ সমতা নয়- ন্যায্যতা দিতে হবে: জবি উপাচার্য

spot_img

নারী-পুরুষ সমতা নয়- ন্যায্যতা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীদের দক্ষতা অনুযায়ী তাদের সুযোগ দিচ্ছেন। তাছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধক সেল গঠন করে দিয়েছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় বাংলাদেশের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নারীর প্রতি মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, নারীকে মানুষ ভাবতে হবে।”

সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, “নারী না থাকলে সভ্যতা তৈরি হতো না, আর ইতিহাস নারী পুরুষ সবাই মিলেই তৈরি করে থাকে। মূল সমস্যা হচ্ছে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য যা আমাদের অনেক সময় সহিংসতা, ইভটিজিং ও অনাকাঙ্ক্ষিত অশ্লীল ঘটনার জন্ম দেয়। বঙ্গবন্ধু নারীদের অনেক সম্মান করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসকল নারীরা সম্ভ্রমহানি ও নির্যাতিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়েছিলেন। সেই নারীদের পরিবার ঠিকানা কিছুই ছিল না বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে সাথে নিয়ে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। নারীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার দর্শন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের। মুখ্য আলোচক বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম জাহান। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান।

বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম জাহান মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বলেন, “এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী নারীতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রগতি ত্বরান্বিত হবে। নারীতে বিনিয়োগযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-নারীর সমতা, স্বক্ষমতা ও সুযোগের গুরুত্ব দেয়া। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হচ্ছে- নারীর কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। পৃথিবীতে একমাত্র নারীতে বিনিয়োগ কখনও বিফলে যায় না। আবার শুধুমাত্র নারীতে বিনিয়োগ করলেই হবে না, পুরুষেও বিনিয়োগ করতে হবে। আর এভাবেই বিনিয়োগের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।”

আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ এবং শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়াও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের ড. বুশরা জামান ও সংগীত বিভাগের মাহমুদুল হাসান।

অনুষ্ঠানের ২য় পর্যায়ে সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর