জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পৌঁছেছেন। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৮টায় তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকার হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম হেলিপ্যাডে ক্রাউন প্রিন্সেসকে স্বাগত জানান।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২১ মার্চ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তার এ সফরের অংশ হিসেবে ২০ মার্চ সকাল ৮টায় তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকার হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন। এরপর তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের নতুন সুইচ বাজার পরিদর্শন করবেন এবং গুচ্ছ গ্রামের জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া নলচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন করবেন তিনি। তারপর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভাসানচর যাবেন এবং ভাসানচর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন। সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা ২টি এলাকা পরিদর্শন করবেন ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের অনুভূতি শুনবে, তাদের জীবন-জীবিকা অবলোকন করবেন।
হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার আগমনে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা মনে করে তার এ পরিদর্শন আগামীর হাতিয়ার জন্য বিশাল ভূমিকা রাখবে। এই উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান অবলোকন, এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং চলমান কয়রার দুর্যোগ কবলিত চ্যালেঞ্জগুলো প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া পরিদর্শন করবেন।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথি হাতিয়ায় আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া সকাল ৮টায় হেলিকপ্টারে হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নে নেমেছেন। আমরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি। হাতিয়ায় কার্যক্রম শেষে ৯টার দিকে ভাসানচরে যাবেন। সেখানে বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখবেন। রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করবেন।