সাংবাদিকদের কিছু দিন আগে এড়িয়ে চললেও শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অভিনয়শিল্পী সংঘের ইফতার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জীবনে ঘটে যাওয়া কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।
প্রভা বলেন, কিছু দিন আগে সামাজিকমাধ্যম থেকে আমি জানিয়েছি আপনারা আমার সঙ্গে কথা না বলে নিউজ করবেন না। আমরাও তো চেষ্টা করি ধর্মীয়রীতি পালন করতে। যেমন রোজার সময় আমাদের মন নরম থাকে। সেসময় প্রত্যেকেরই উচিত কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাওয়া। সেসময় আমি ক্ষমা চেয়ে এটা নিয়ে গুছিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিই। এরপরই আমার কানে আসে, নিউজ হয়ে গেছে, ‘অবশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রভাথ। আমি কেন ক্ষমা চাইতে যাব? ক্ষমা তো এই সোসাইটির আমার কাছে চাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
এই অভিনেত্রী বলেন, ছোটবেলায় পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে ভয় পেতাম, কারণ আম্মু জানলে বকা দেবে। এখন ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হলেও হজম করে ফেলি। কারণ, তারচেয়ে বড় ভয় হয় যদি জার্নালিস্ট জানতে পারে, তাহলে কী হবে! আমার জীবনে যারা (প্রেমিক) এসেছে, প্রত্যেকে যাওয়ার সময় একটা ব্লেম গেম খেলেছে। এটার মধ্যে মেন্টালি টর্চার হয়েছি, কিন্তু কাউকে কিছু মুখফুটে বলতে পারিনি। বরাবরই মনে হয়েছে বললেই যদি জার্নালিস্ট জেনে যায়?
প্রভা আরও বলেন, দেখেন দুইটা গল্প বলি। একটা মেকআপ রুমের। যেখানে আমরা শুটিং করে রুমে ঢুকি। মেকআপ করি, খাই, আপনারা এলে বসে গল্প করি। তো এভাবে এক দিন গ্রিনরুমে বসে আছি। একজন ফটোগ্রাফার ও একজন সাংবাদিক আসলো। বসতে বললাম। এরপর আমি মুখে পাউডার মেখে মেকআপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে ক্লিক ক্লিক ক্লিকৃ। আমি বললাম, ‘কেন ছবি তুলতেছেন?’ বলে, ‘আমি তো জার্নালিস্ট’। এটার মানে কী বলেন তো? উনি সাংবাদিক বলে আমার কোনও প্রাইভেসি নাই?
প্রভা বলেন, সেদিন শুটিং শেষ করে উবার নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও আমার সঙ্গে উঠলেন। ভাই মানুষ। পাশে বসলেন। বললেন, এয়ারপোর্টে নামায়ে দিতে। তো সিটে বসে কথা বলতে বলতে সে আমার পায়ে হাত রাখল! বললাম, ‘তুমি আমার গায়ে হাত দিলা কেন? আমার কোনো কলিগও তো এভাবে হাত দেয় না।’ এরপর সে ‘সরি’ বলেছে। নামকরা সাংবাদিক। আমি জানি, সে সরি বললেও তার ভুল রিয়েলাইজ করে নাই। পরে সে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অন্যভাবে। কীভাবে তাহলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্তরিক হব?