প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্যবারের মতো এবারও সিলেট থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন কাদের। এ সময় তিনি ভার্চুয়ালি সিলেটের বালাগঞ্জে বড়ভাঙা সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু করবেন। আগের নির্বাচনগুলোতেও তিনি সিলেট থেকে নির্বাচনের সভা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটাই করুক। আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা ৮ হাজার নেতা-কর্মীদের (বিএনপি) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না। তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের । ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না।
এ সময় পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন কাদের। দায়িত্ব পালনকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধও করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
জাতীয় সংসদের মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।
চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। ফলে সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে।