![](https://i0.wp.com/muktokolom.news/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=696&ssl=1)
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের দেয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ৪২.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
১৮৯ তাড়া করতে নেমে যে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল যুবা টাইগাররা। তবে সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম খেললেন ব্যক্তিগত ৯৪ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। তবে আরিফুল ফিরলেও তখন জয় বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষদিকে অবশ্য ভারত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নেয়। নইলে বাংলাদেশের জয়টা আরও বড় হতে পারতো।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল যুবা টাইগাররা। প্রথম ওভারেই রাজ লিম্বানির বলে বোল্ড হন ওপেনার জিসান আলম। গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) ফেরেন তিনি। ১৯ বলে ১৩ করে নামান তিওয়ারির শিকার হন চৌধুরী মো. রিজওয়ান। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির ওপর ভরসা ছিল। কিন্তু ২২ বলে ৭ করে রানআউটে কাটা পড়েন এই ওপেনার। সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের ১৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচ জেতা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। এ জুটিতে মূল ভূমিকা আরিফুলেরই। তবে ৯০ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৯৪ রান করে ভারতীয় পেসার রাজ লিম্বানিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই ভুল করেছেন তিনি। ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এরপরই আউট হন মোহাম্মদ শিহাব (৯) আর শেষদিকে এসে উইকেট বিলিয়ে আসেন আরিফুলের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো জুটি গড়া আহরারও (৪৪)।
এর আগে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
টাইগার পেসারদের তোপের মুখে শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না ভারতীয় ব্যাটাররা। ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত। শেষদিকে মুশের খান ও মুরুগান অভিশেকের দুই ফিফটিতে সম্মানজনক স্কোরই পেয়ে যায় উদয় শাহারানের দল। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট (৪১ রান খরচায়) শিকার করেন মারুফ মৃধা। ২টি উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।