ঢাকা | সোমবার | ৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ
রাজনীতিবিএনপিকে ভুলের খেসারত অনেক দিন দিতে হবে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপিকে ভুলের খেসারত অনেক দিন দিতে হবে : ওবায়দুল কাদের

spot_img

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে সেই ভুলের খেসারত অনেক দিন দিতে হবে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র যোজন যোজন দূরের ব্যবধান। দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই, কিন্তু পাকিস্তান তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক ধরে রেখেছে। দুই দেশের মধ্যে পার্থক্যটা হলো আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি শক্তি বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মাতামাতি করে, ভিসা নীতি মিশে থাকার বিষয় আনে কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ নিয়ে মাতামাতি নেই। পাকিস্তানের নির্বাচনে সহিংসতা, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, ৯ জনের প্রাণহানিও ঘটেছে। দেশটির বেলুচিস্তানে বোমা বিস্ফোরণ কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গণতন্ত্রের ট্রু ফর্ম অনুসরণ করি। নির্বাচনে বিরোধীদল আসেনি, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমরা বলছি না আমাদের গণতন্ত্র শতভাগ পারফেক্ট। গণতন্ত্রের ছবক দেয় যে পশ্চিমা বিশ্ব তারাও পারফেক্ট নয়।

আগামীকাল শনিবার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে দলের সুদৃঢ় ঐক্যের দরকার। গত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করেছে। যে নির্বাচনে ৬২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগের। নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি, মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব, সংঘাতের মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয়ের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে দলে সুদৃঢ় ঐক্য দরকার। সবার মধ্যে ঐক্যবদ্ধ আবহ তৈরির জন্য এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন।

রাজনীতির মাঠে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতটুকু জানি তার অনেকগুলো মামলায় জামিন হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলা একটু অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়ত একটা সময় জামিন হয়ে যাবে। একজন বিনা বিচারে আটকে থাকবে এটা সরকারও চায় না। জামিন হয়নি, ভবিষ্যতে হবে না এটা ঠিক নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। একেক জন একেক কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মুখপাত্র। তিনি বললে সেটা দলের বক্তব্য।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশের চিকিৎসা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, পারিবারিকভাবে আবেদন করুক। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় কীভাবে সুপারিশ করে তারপর বলা যাবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর