![](https://i0.wp.com/muktokolom.news/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=696&ssl=1)
বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন মেয়ে। পরে মারধরের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটে সুমাইয়া বেগম নামের এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নারী দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলামের কন্যা বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় রাতে নির্যাতিতা নারীর মা ফিরোজা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুলারহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলায়তে হোসেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত নুরনবী, কবির, শাহিন, ফিরোজ, আয়শা, সাথি ও খতেজারা আত্মীয় এবং একই বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের বিরুদ্ধে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করেন তার পিতা সিরাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার ওই মামলার হাজিরা ছিল। অভিযুক্তরা মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়িতে এসে তার বাবা সিরাজুলকে মারধর করেন। বাবাকে বাঁচাতে মেয়ে সুমাইয়া ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে শাহিন ও ফিরোজ।
মারধরে সিরাজুল, সুমাইয়া, মরিয়ম ও ফিরোজা গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা নারীর মা ফিরোজা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি মামলার দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, কে বা কারা এই মারধরের ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েছে এই বিষয়টি তার জানা নেই।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকার কারণে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
দুলারহাট থানার ওসি (তদন্ত) মো মুহিবুল্লাহ জানান, মঙ্গলবার রাতে মারধরের ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সুমাইয়ার মা ফিরোজা। শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।