ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগ ও কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জামা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় কবি নজরুল সরকারি কলেজের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবি নজরুল সরকারি কলেজের মাঠে ফুটবল খেলছিলো কলেজেরই আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তখনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ৭-৮ জন কর্মী মাঠে আসে ফুটবল খেলতে। এসময় তারা কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্রুত মাঠ ছেড়ে দিতে বলে। আর তখনই দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগরের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী ফিব্বি এসময় কথা বলতে এগিয়ে আসলে তার ওপর চড়াও মো. মাসুদ রানা নামের জবি ছাত্রলীগের এক কর্মী। মাসুদ রানা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইনের অনুসারী। এরপর কবি নজরুল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাসুদকে মারধর করে। পরবর্তীতে মাসুদ জবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ফোন দিলে বেশ কয়েকজন এসে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের। মারধর করে।
পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইনসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ফিব্বি বলেন, প্রথমে আমরা আমাদের মাঠে ফুটবল খেলছিলাম। এসময় জগন্নাথের ৭-৮ জন ছেলে মাঠে প্রবেশ করে। তারা আমাদের মাঠ থেকে উঠে যেতে বলে। তারা নাকি অনুমতি নিয়ে এসেছে কারও থেকে। কিন্তু তা আমরা জানি না। পরে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের অনুসারী মো. মাসুদ রানা নামের ১২ ব্যাচের একজন প্রথমে আমার ওপর চওড়া হয়। তার বাসা মাদারীপুরে। আমাদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে সে ছাত্রলীগের আরও নেতাকর্মীদের ডাক দিয়ে এনে আমাদের মারধর করে। গতকাল রাতে আমি হলেও ছিলাম না। তারা আমাকে রাতে মারার পরিকল্পনা করেছিলো বলে জানতে পেরেছিলাম। আমি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করি। এখনও কোনো মিচুয়্যাল হয়নি এ বিষয়ে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী এবং ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাসুদ রানা বলেন, আমরা ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম, তারা খেলতে দেয়নি। পরে আমরা চলে আসছি। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বলেন, এসব বিষয়ে আমি ফোনে কথা বলিনা। আপনি অফিস টাইমে আমার অফিসে আসবেন।
এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফুটবল খেলাতো, চিল্লাচিল্লি করে থাকতে পারে। তবে মারামারি, গ্যান্জামের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন বলেন, বিশ্বাস করো ওখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আমি ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারও সঙ্গে কোনো মারামারি হয়নি।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। খোঁজ নিয়ে দেখবো।