বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও নোয়াখালীতে রেললাইনে আগুন দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের মাইজদী রেল স্টেশনের উত্তর পাশে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভে সফল হোক, সফল হোক, সড়ক পথের অবরোধ, সফল হোক রেলপথের অবরোধ, সফল হোক সফল হোক, নৌপথের অবরোধ, সফল হোক সফল হোক, এক দফা এক দাবি, এক শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখুসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আজগর উদ্দিন দুখু ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমাদের এক দফা দাবি থেকে সরানো যাবে না। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই সরকারের পদত্যাগ করেই ছাড়ব। গতদিনের মতো আজকেও গাড়ির চাকা ঘুরবে না এবং দোকানপাট খুলবে না। আমাদের রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ সফল হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, মাইজদী রেল স্টেশনের উত্তর পাশে পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুরের আমেরিকান মোড়ের ১৭২/৫ স্লিপারে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আনসার সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভায়। সেখানে যেন আগুন না বাড়তে পারে সেজন্য কচুরিপানাও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে রেললাইনে অগ্নিসংযোগের কোনো তথ্য জানা নেই। কেউ আমাদেরকে বলেনি। তবে শুনেছি স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভেছে।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জায়েদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ যাওয়ার পর পিকেটাররা পালিয়ে যায়। তবে এঘটনায় তাৎক্ষনিক একজনকে আটক করা হয়েছে। যেহেতু রেলওয়ের জায়গা তাই তারা বাদী হয়ে মামলা করবে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্নিত হয় এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না। অবরোধের নামে নৈরাজ্য করতে এলে কাউকে সহ্য করা হবে না। এই জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।