ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬:০৮ অপরাহ্ণ
শিক্ষাক্যাম্পাসনোবিপ্রবি প্রশাসনের পদত্যাগ চেয়ে ২ দিনের আল্টিমেটাম

নোবিপ্রবি প্রশাসনের পদত্যাগ চেয়ে ২ দিনের আল্টিমেটাম

spot_img

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টদের ২ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দ।

বুধবার (৮ আগস্ট) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি উত্থাপন করেন।

উল্লেখিত ব্যক্তিদের পদত্যাগ ছাড়া আরও ৩ দাবিসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ৪ দফা দাবি তুলে ধরা হয় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে।

দাবিগুলো হলো: ১. এই ক্যাম্পাসে সব ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তির ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ২. উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসসির পরিচালক, এবং অতিরিক্ত পরিচালকসহ সব প্রভোস্টকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ৩. যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে কিংবা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে তাঁদের আবাসিক হলের আসন আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। ৪. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুর রহমান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়নি। নিহত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও তাঁদের কোনো সহানুভূতি ছিল না; তা ছাড়া উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাঁরা ওই দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আল জকি হোসাইন বলেন, সমন্বয়ক হিসেবে না বলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বলবো আমার দেশ গঠনে আমরাই যথেষ্ট। আমাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং উদ্যমী মনোবল পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সমস্ত সীমাবদ্ধতা দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক অরাজকতা রুখতে এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদেরকে প্রকৃত শিক্ষা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। এরা দলকানা এবং স্বার্থান্ধ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা মেতেছিল নিজেকে নিয়ে। আর যেই প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা করতে দ্বিধাবোধ করে, তারা কখনোই প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা রাখতে পারে না।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর