মোঃ ইমাম হোসেন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) গ্রাজুয়েট, অ্যাফেয়ার্ড এবং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজনেস ক্লাবের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উৎসবে বিভিন্ন পদের জন্য প্রায় ১৭০০টি সিভি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১লা মার্চ) সকাল ১০.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মো: ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন গোলচত্বরে প্রাণ, মেঘনা গ্রুপ লিমিটেড ও আবুল খায়ের গ্রুপের প্রতিনিধিগণ চাকুরী প্রত্যাশীদের সিভি প্রদর্শনপূর্বক ভাইভা গ্রহণ করেন।
ব্যবসায় অনুষদের চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.এস.এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো:দিদার-উল-আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো:আব্দুল বাকী। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সকল বিভাগ হতে আগত শিক্ষার্থী, আবুল খায়ের গ্রুপ,মেঘনা গ্রুপ ও প্রাণ কোম্পানির কোম্পানির নিয়োগকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির সভাপতি কাজী আল আমিন বলেন,‘নোবিপ্রবি ঢাকা হতে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানি গুলো সাড়া প্রদান করায় আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি উপকৃত হবে।চাকুরীপ্রার্থীরা সব মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ টি জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়। এগুলোকে পর্যালোচনার মাধ্যমে শর্টলিস্ট করে প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। আজকে প্রথমবারের মতো তিনটি কোম্পানি আসলেও ভবিষ্যতে ত্রিশটির অধিক আসবে বলে আশা করি।
সভাপতি বক্তব্যে অধ্যাপক ড.এস.এম মাহবুবুর রহমান বলেন,‘সংগঠনটির কার্যক্রম প্রশংসা করে তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রোগাম আয়োজনে উৎসাহ প্রদান করেন।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো কাজ থাকে। ভালো মানুষ গড়ে তোলা, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। আমরা আশাবাদী বিজনেস ক্লাবের মাধ্যমে তা অর্জন কর সম্ভব হবে। নতুনদের জন্য তারা ক্যাম্পেইন চালু করবে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবে’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদারুল আলম বলেন বলেন,‘ বর্তমান পৃথিবীতে ইন্ডাস্ট্রির সাহায্য ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। তার প্রমাণ হচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারি অনুদান নেই বললেই চলে। তার ঠিক উল্টোটা আমাদের দেশে। আমরা সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে চলি।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের সিলেবাসগুলো সম্পূর্ণ থিওরিটিক্যাল। যার ফলে পাশ করার পর চাকরি প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভয় ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বিজনেস ক্লাব সকল শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়ায় সেটি চাকুরীপ্রত্যাশীদের জন্য কল্যাণজনক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।