টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় শীতের তীব্রতায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে ধনবাড়ী উপজেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছেই না। ফলে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি কমছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও।
আর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবর্ণনীয় দুর্ভাগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। পথে প্রান্তের থেকে তারা সীমাহীন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করছেন।
এরই মধ্যে ধনবাড়ীজুড়ে শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। তবে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অসহনীয় ঠান্ডার হাত থেকে শীতার্ত এই মানুষগুলোকে রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পযার্য়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ধনবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুনার রশিদ।
এদিকে, গতকাল কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে ঝিনাই, বইরান,বংশাই পাড়ের ধনবাড়ী ।গতকাল ভোর ৬টা ৪৯ মিনিটে রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে। তবে বেলা ১২টা পর্যন্ত ধনবাড়ীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এখনও ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে আছে পুরো ধনবাড়ী । ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। আর এই কারণেই বেড়েছে শীতের দাপট।
মূলত ধনবাড়ী তাপমাত্রা এখনও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই রয়েছে। গতকাল ভোর ৬টায় ধনবাড়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আজও ঘন কুয়াশায় মুড়ে আছে ধনবাড়ী । এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া শরীরে কাঁটা দিচ্ছে শীতার্ত মানুষের শরীরে। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা ততই যেন বেসামাল হয়ে পড়ছে। হঠাৎ ওপরে উঠছে, হঠাৎ নামছে। তবে এই ঘন কুয়াশা কেটে গেলে কামড় বসাবে শীত। বাড়বে জনদুর্ভোগ। এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।