মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য পুরো রমজান মাস জুড়ে মাত্র ৫০ টাকায় ৮ প্রকার ইফতার আইটেমের একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাফেটেরিয়ার কর্তৃপক্ষ। প্যাকেজটিতে ইফতারির সকল ধরনের আইটেম অন্তর্ভুক্ত থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। ৫০ টাকা মূল্যের ইফতার আয়োজনে রয়েছে মোট ৮টি ভিন্ন ভিন্ন আইটেম। তার মধ্যে একটি আলুর চপ, একটি বেগুনি, একটি পিঁয়াজু, দুইটি খেজুর, এক প্যাকেট মুড়ি, এক বাটি ছোলা, এক গ্লাস বিশেষ শরবত এবং প্রতিদিন একটি ভিন্ন ধরণের ফল থাকছে। এছাড়াও আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজু, ছোলা কিংবা মুড়ি আলাদাভাবেও বিক্রি হচ্ছে।
ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতারে সব ধরনের আয়োজন অন্তর্ভুক্ত থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। দামে সাশ্রয়ী ও সব শিক্ষার্থী একইসঙ্গে ইফতারের সুযোগ পাচ্ছে বিধায় তারা ব্যাপক খুশি। পাশাপাশি তারা ক্যাফেটেরিয়ায় সাহরির আয়োজনেরও দাবিও জানিয়েছেন।
প্যাকেজটি সম্পর্কে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজিব হাসান অনিক বলেন, রমজান মাসে রাস্তাঘাটে ইফতার আইটেমের অভাব হয় না। কিন্তু আইটেমগুলো আলাদা আলাদা কিনতে গেলে অনেক বেশি খরচ পড়ে যায়। ক্যাফেটেরিয়ায় একসাথে সব আইটেম থাকায় বেশ ভালই হয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি। ৫০ টাকায় আইটেম মোটামুটি ঠিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যারা থাকে, তারা একসাথে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে ইফতার করতে পারছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিমু বলেন, মেসে এতো আইটেম তৈরি করা ঝামেলা হয়ে যায়। এজন্য ক্যাম্পাসে এসে ক্যাফেটেরিয়ার এই প্যাকেজটি নিয়ে শহীদ মিনারে বসে ইফতার করি। অনেক সময় বাসায়ও পার্সেল নেয়া যায়।
ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, প্রথম রোজা থেকেই আমাদের এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ আয়োজন করা হয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা আমার নিজের ছেলেমেয়ের মতো। ইফতারে যেনো তারা ভালো মানের খাবার খেতে পারে সেজন্যই আমার লাভের কথা চিন্তা না করে এ আয়োজন করেছি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. জি. এম. আল-আমীন বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হওয়া সত্বেও আমরা এবছরও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতারের ৫০ টাকার প্যাকেজটি চালু রেখেছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কোষাধ্যক্ষের মৌখিক অনুমতিতে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা এ দাম নির্ধারণ করেছি।