কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী সংগঠন ‘লিবারেল মাইন্ডস’ এর দায়িত্ব পালনকালে হেনস্তা করার অভিযোগে বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. আনোয়ার আজম নামে এক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা।
গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ‘লিবারেল মাইন্ডস’র উপদেষ্টা অধ্যাপক এম.এম শরিফুল করিম বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। একই চিঠির অনুলিপি দিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক, লিবারেল মাইন্ডস কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ইংরেজি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর।
পদত্যাগ পত্র সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী সংগঠন ‘লিবারেল মাইন্ডস’ এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা তৈরি এবং মনোনয়নপত্র যাচাইয়ের দায়িত্ব পালনকালে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আজমকে বকাঝকা করেন ও ধমকাতে থাকেন। এবং বিভিন্নভাবে অপমানজনক কথাবার্তা বলেন। যেসময় বিভাগের কয়েকজন জুনিয়র শিক্ষার্থীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থী এবং ক্লাবের সভাপতি হিসেবে চরম অপমানজনক বলে মনে করে আনোয়ার আজম পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এবং এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অনুরোধ জানান।
এই বিষয়ে ‘লিবারেল মাইন্ডস’র সদ্য পদত্যাগকৃত সভাপতি আনোয়ার আজম বলেন, বিভাগে এতে বছর কাজ করার পর বিদায়ী মুহূর্তে নিজ বিভাগের একজন শিক্ষক দ্বারা এমন একটি অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে আমি চরম বিব্রত এবং ব্যথিত। ম্যাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এমনটি করেছেন বলে আমি মনে আমি করি।
তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশ, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই হয়ত তিনি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছেন বলে আমি মনে করছি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শারমিন সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।
‘লিবারেল মাইন্ডস’র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক এম.এম শরিফুল করিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি বর্তমানে বিভাগের বাহিরে আছেন। তবে তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে আজ সকালে জেনেছেন। এবং আগামীকাল তিনি এই বিষয়ে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবেন।
ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি নন বলে জানান।