অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কালো টাকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে আনতে পারে।
গতকাল পরিকল্পনা কমিশনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কালো টাকা সৃষ্টির কোনো সুযোগ রাখা হবে না। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে কাজ করছে।’
তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করা হবে, তবে তা হবে সবার মতামতের ভিত্তিতে। বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ও ফলপ্রসূ প্রকল্পেই ঋণ নেওয়া হবে।
এর আগে সকালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাতে রানা প্লাজা ধসের পর ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য যে সাধারণীকৃত অগ্রাধিকার ব্যবস্থা (জিএসপি) বাতিল করেছিল, তা পুনর্বহালের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। তিনি আশা করেন, শর্ত পূরণ হলে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মার্কিন কোম্পানি অভিযোগ করেছে যে তারা তাদের আয় দেশে ফেরত পাঠাতে পারেনি। আমাদের অনেক কোম্পানিও যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হয়েছে।’
সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য শিগগিরই একটি উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে বলেও তিনি জানান।