দীর্ঘ দিন পর অবশেষে কমিটি পেতে যাচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়।
এরপর নোবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয় এক অন্য রকম আমেজ,শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন? এ নিয়ে শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় ও ত্যাগী নাকি হঠাৎ রাজনীতিতে আসা কারও হাতে উঠবে শীর্ষ দুই পদ?
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর শফিকুল ইসলাম রবিনকে সভাপতি ও সাকিব মোশাররফ ধ্রুবকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক বছর মেয়াদি সেই কমিটিকে প্রায় সাড়ে চার বছর পর ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর বিলুপ্ত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই সাথে শীর্ষ পদ প্রত্যাশীদের সিভি আহবান করা হয়। ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের সিভি সংগ্রহ করে এই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। দুই পদের জন্য ৪১২ জন নেতা-কর্মী তাদের সিভি জমা দেন। তবে সিভি সংগ্রহ করা হলেও কমিটি দেয় হয়নি এই ইউনিটে।
ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের শীর্ষ পদপ্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইনফরমেশন এন্ড কমিনিউকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রহমান,ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম নুহাশ,পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান শুভ, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম নাঈম এবং বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামান জিসান।
শীর্ষ পদ প্রার্থী নাঈম রহমান বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকলেও রাষ্ট্রীয় সকল জাতীয় দিবস, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজে শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের সংগঠন নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ সক্রিয় ছিলো, নিজেদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলো। যেই পদে আসুক তার উপর দায়িত্ব অর্পিত হবে, নোবিপ্রবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সগযোগী হবে। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং একজন কর্মী হিসেবে সে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকার প্রয়াস করবো।
মুহাইমিনুল ইসলাম নুহাশ বলেন, নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় ছাত্ররাজনীতির গতিশীলতা কিছুটা কমে গিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে রাজনৈতিক যে উচ্ছ্বাস সেটি কিছুটা ভাটা পড়েছে। আমি নেতৃত্বে এলে শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত মিথস্ক্রিয়ায় ক্যাম্পাসে একটি স্মার্ট ছাত্রলীগ গড়ে তুলবো। শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবিতে আমরা ছাত্রলীগ পাশে থাকবো এবং সকলকে সুসংগঠিত করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ের লক্ষ্যে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবো।
জাহিদ হাসান শুভ বলেন, ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্ররাজনীতিতে আমার আদর্শিক এবং সাংগঠনিক অবস্থান ইতোমধ্যেই আমার সকল অগ্রজ, সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে পরিষ্কার। সংগঠনকে আরো গতিশীল করে আগামী নির্বাচনে দেশরত্নের হাতকে শক্তিশালী করাই হবে এই মুহূর্তে সকল ছাত্রলীগ কর্মীর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সেই সাথে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করা।
নজরুল ইসলাম নাঈম বলেন, নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ সর্বদা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবয়নে কাজ করবে, আমরা আশা করছি নেতৃত্বে আসলে একটি সুষ্ঠু সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ,ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ তৈরি করে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগকে স্মার্ট ছাত্রলীগে রুপ দান করবো। শুধু তাই নয় নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যে বা যারা আসবে তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা এক সাথে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো। আমরা আশা করি নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ দীর্ঘ দিন পর যোগ্য নেতৃত্ব পাবে।
আক্তারুজ্জামান জিসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরি করা এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত করা এবং প্রগতিশীল ভাবধারার চর্চা করার মাধ্যমে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগকে গড়ে তুলবো সকলের সহযোগিতায়।