স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালে এলেন গর্ভবতী এক তরুণী। চিকিৎসক তাকে দেখে ভর্তি করে দ্রুত গাইনি ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিলেন। সেখানেই জন্ম হলো ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের। আর তারপরই লাপাত্তা হয়ে গেলেন ওই সন্তানের মা।
গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই মায়ের নাম পাপিয়া খাতুন, বয়স ২৫। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীরের স্ত্রী তিনি।
সন্তান হাসপাতালে রেখে কেন তিনি লাপাত্তা হয়ে গেলেন সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। বর্তমানে সদর হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসের তত্ত্বাবধানে বিলকিস বানু নামে এক নারী দেখাশোনা করছেন নবজাতককে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন জানান, জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানো হয় ওই তরুণীকে। গাইনি ওয়ার্ডে নার্স-চিকিৎসকের সহযোগিতায় কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপরই নবজাতক রেখে চলে যান। হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসের তত্ত্বাবধানে আছে শিশুটি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নবজাতকটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বাবা-মাকে শক্তাক্তের চেষ্টা চলছে।