নীলফামারী সদরে একটি বাড়িতে গলা কাটা অবস্থায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী এবং বিছানা থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলা’কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই ব্যবসায়ী- এমনটি ধারণা করছে পুলিশ।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী পুরাতন বন্দর বাজার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, আশিকুল মোল্লার স্ত্রী তহুরা বেগম (৩৫) তার দুই মেয়ে আয়েশা আক্তার তানিয়া (৮) ও জারিন (৫)।
আশিকুল চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লার ছেলে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে বাস করতেন আশিকুল। তিনি স’মিল, কাঠ বিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যবসা করতেন।
আশিকুল মোল্লা বাবুর ছোট ভাই জাকির হোসেন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে গলাকাটা অবস্থায় আশিকুল মোল্লা বাবুকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আশিকুলের গোঙ্গানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘরের বারান্দায় গলাকাটা অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। তার ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায়, তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ের মরদেহ ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছে।
আশিকুল মোল্লা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন বলে প্রতিবেশীরা জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আশিকুল পরিবারের সদস্যদের শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে কি কারণে এমন হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা এখনও অজানা।
খবর পেয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।