ঢাকা | বুধবার | ৩ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২:২৯ অপরাহ্ণ
সারাদেশস্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণী

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণী

spot_img

শরীয়তপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে ইমন খান (২৪) নামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চরচিকন্দী গ্রামে ইমন খানের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।

এক তরুণীকে বিয়ে করে বাড়িতে না এনে ভাড়া বাসায় রেখে বিদেশে চলে গেছেন ইমন খান। বাসা ভাড়া না দিতে পারায় বাড়ির মালিক ওই তরুণীকে বের করে দিয়েছেন। এখন ওই তরুণীর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ইমনের পরিবার তাকে পুত্রবধু হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে প্রবাসী ইমনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই তরুণী।

মালেশিয়া প্রবাসী ইমন খান চরচিকন্দী গ্রামের মোশারফ খানের একমাত্র ছেলে। আর ওই তরুণী একই উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইমন খানের। গত ১০ আগস্ট শরীয়তপুরে কাজীর মাধ্যমে সাত লাখ টাকা কাবিন ধার্য করে ইমন খান ও ওই তরুণী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিবাহের পর তারা ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু কিছুদিন আগে ওই তরুণীকে না জানিয়ে ইমন খান মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর ওই তরুণীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি ইমন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ইমন খানের বাড়িতে অবস্থান নেন।

ওই তরুণী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইমনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা বিয়ে করে একসঙ্গে সংসার করেছি ঢাকাতে। কিন্তু ইমন হঠাৎ করে আমাকে কিছু না বলে বিদেশে চলে গেছে। পরে তার সঙ্গে আমি আর কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। ভাড়া বাসার বাড়িওয়ালা আমাকে বের করে দিয়েছেন। আমার যাওয়ার মত আর কোনো জায়গা না থাকায় আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে এসেছি। কিন্তু আমার শাশুড়িসহ অন্যান্যরা আমাকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। ইমনের বউ হিসেবে আমি স্বীকৃতি চাই। যদি আমাকে মেনে না নেয় তাহলে আমি এখানেই মারা যাব, আমার যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই।

ইমন খানের মা নাজমুন নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে বিয়ে করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। বউ মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি ওই মেয়েকে আমার ছেলের বৌ হিসেবে মেনে নেব না।

শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রব মাদবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলের পরিবার বা সমাজের কেউ জানে না যে ইমন বিয়ে করেছে, তার বউ আছে। ওই মেয়ে বাড়িতে আসার পর আমরা জানতে পেরেছি। এখন ছেলে মেয়ে উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর