শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হয়েছিলেন আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব।
২০২২ সালে পারিবারিকভাবে আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তবে বিয়ের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তার সেই সুখের সংসারে বেজে উঠল বিচ্ছেদের সুর।
সোমবার (২২ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।
সানাই তার ভেরিফায়েড পেজে লেখেন, ‘যে স্বামী বুঝেনি তার স্ত্রী তার কাছে কতটুকু দামি, যে স্বামী বুঝেনি তার ওপর তার বিবাহিত স্ত্রীর অধিকার কতটুকু, যে স্বামী বুঝেনি সংসার কি? যে স্বামী বুঝেনি ইসলাম স্বামীর ওপরে স্ত্রীর অধিকার কতখানি দিয়েছে, যে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার আদায় কি জিনিস, সেটা সম্পর্কে অবগত না, যে স্বামী, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চেয়ে অন্য কিছুকে প্রাধান্য দেয়, তার হাতটা আস্তে করে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।’
সানাই আরও লেখেন, ‘ইসলাম যে নারীকে সর্বোচ্চ উঁচু আসনে আসীন করেছে, সেই নারীর সম্মান তো এত কম হওয়ার কথা না। নারী তুমি ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট তোমার নিজের কাছে, নিজেকে এত কম দামি মনে করো না। ছেড়ে দেওয়াই উত্তম সেই পুরুষের হাত, যে বুঝেনি নারীর কদর। আলহামদুলিল্লাহ। জীবন সব সময় সুন্দর।’
সানাইয়ের স্বামী আবু সালেহ মুসার বড় ভাই বাহারুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এ বিষয়টি জানার পর আমার বাড়িতে গিয়ে জানতে পেরেছি আগামী ৭ জুন তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।
স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট এখন। এছাড়া আলোচিত এ মডেলের পোস্টে নেটিজেনরা প্রশ্ন করেছেন, কেন এবং কী কারণে বিচ্ছেদ হলো? আবার কেউ কেউ বিচ্ছেদ ধরে নিয়ে সানাইয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
তবে সানাইয়ের স্বামী আবু সালেহ মুসা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন তারা এখনো একসঙ্গে আছেন এবং সম্পর্কটি বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখনো এক ছাদের নিচে আছি। সানাই সর্ম্পকে খারাপ কিছু বলব না। সে অনেক ভালো একটা মেয়ে। তবে চাহিদা যখন বেশি হয়ে যায় তখন মানুষ খারাপ কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না।’
প্রসঙ্গত, পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার কেন্দ্রে ছিলেন সানাই। স্তনে সার্জারি করিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন এই মডেল।