ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট (ডিপিএল) লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৯৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে তারা। আগে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ অলআউট হয় ৯৯ রানে। ৫ উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন শামিম পাটোয়ারি। শহিদুল ইসলাম ১৭, ইমরানুজ্জামান ১৫, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ১৫ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ১১ রান করেন। জবাবে ১০.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে আবাহনী। নাঈম শেখ ৪, তাওহীদ হৃদয় ১০ রান করে আউট হন। এনামুল হক বিজয় অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৩৭ রান করে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত খেলেন ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
এর আগে টস জিতে আগে বোলিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট পান আবাহনীর শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসার এলবিডব্লিউ করেন তৌফিক খান তুষারকে। পরের ওভারে সাদমান ইসলামকেও শিকার করেন শরিফুল। নিজের প্রথম দুই ওভারেই রূপগঞ্জের দুই ওপেনারকে পাঠান সাজঘরে। তৃতীয় উইকেটটি পান সাকিব। ইমরানউজ্জামানানকে শিকার করে এদিন নিজের প্রথম উইকেটটি পান এই ডানহাতি পেসার। নিজের পরের ওভারেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে এলবিডব্লিউ করেন সাকিব। ২৩ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিপ্লব।
শামীম পাটোয়ারি কিছুটা দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় শরিফুলের ফাঁদে পড়েন। তাঁর ইনিংস থামে ১৪ বলে ১৮ রানে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল হকও। তাকেও বোল্ড করেন সাকিব। ১৪ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল। একই ওভারে শুভাগত হোমকেও শিকার করেন সাকিব। এরপর ২৭ রানের জুটি গড়েন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তাঁকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। উইকেটে টিকে থাকা মাশরাফীর ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে ১৫ রান। এরপর আব্দুল হালিমকে শিকার করেন তাসকিন। পরের ওভারে এসে শহিদুলকে আউট করে ফাইফার পূর্ণ করেন সাকিব। ৯৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৭.৩ ওভারে ২৩ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই এখন সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।