রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সড়ককে দুর্ঘটনামুক্ত করতে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সবার সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে উন্নত ও দক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ পরিবহন খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে দেশব্যাপী গড়ে তোলা হয়েছে বিস্তৃত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মহাসড়ক ছয় লেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আট লেনে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুগে প্রবেশ করেছে। কর্ণফুলীর বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। বাঙালির আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু চালুর মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এছাড়া সহজ, আরামদায়ক ও ঝুঁকিমুক্ত সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিতকল্পে সড়ক ডিভাইডার নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ওভারপাস নির্মাণ, ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যাল স্থাপন, পুনঃস্থাপন, গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রম অব্যাহত আছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এসব পদক্ষেপ স্বপ্নের এক নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সড়ক নিরাপত্তা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে সড়কে মোটরযানের সংখ্যা ও সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়, অনেক পরিবার চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। সড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে সরকারের গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের পাশাপাশি মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি-নিষেধ জানা ও সেগুলো মেনে চলার বিকল্প নেই।