সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের তফসিল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার আগে মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই, চূড়ান্ত প্রার্থী ও ভোট গ্রহণের দিন তারিখ ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এবার ক্ষমতাসীনদের সমর্থন জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল নিয়ে বৈঠকে বসবে ইসি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কমিশন বৈঠকের পরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৫০ সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের তফসিল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। কমিশন বৈঠকের পরে সব কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে সংরক্ষিত নারী আসনগুলোতে ৪৮ জন প্রার্থী দেবে দলটি। আওয়ামী লীগের নিজস্ব সংসদ সদস্য ২২৩ জন ও জোটে দুজন। সব মিলিয়ে এখন সংরক্ষিত ৫০টির মধ্যে ৪৮টি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে প্রাণবন্ত করার জন্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটের সদস্যদের পৃথক তালিকা প্রস্তুত করার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে এবার অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হওয়ায় সংরক্ষিত নারী আসনগুলো নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিত আসনগুলোর বিষয়ে মনোনয়ন দেওয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দেওয়ায় বাকি থাকে দুটি আসন। সংসদের বিরোধী দল হিসেবে এ আসনগুলোতে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি।