ঢাকা | রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯:২১ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিকশেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালো ভারতের গণমাধ্যম

শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালো ভারতের গণমাধ্যম

spot_img

আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লিতে আছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও, সম্প্রতি দিল্লি থেকে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ারও গুঞ্জন ওঠে। তবে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই অবস্থান করছেন এবং সেখানকার কোন এলাকায় আছেন, তা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটির সরকারের ব্যবস্থাপনায় নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি নিরাপদ বাড়িতে বসবাস করছেন।

বলা হয়েছে, মর্যাদা অনুসারে হাসিনাকে মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা একটি পূর্ণ আকারের বাংলোতে রাখা হয়। গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষার জন্য দ্য প্রিন্ট তার সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য যথাযথ প্রোটোকল মেনে শেখ হাসিনা মাঝে মধ্যে লোদি গার্ডেনে হাঁটেন। তার নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই কড়া। সাদা পোশাকে তাকে সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদন মতে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে আসার দুই দিনের মধ্যে হাসিনাকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। কারণ সেখানে থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। পরে লুটিয়েন্স দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকায় একটি বাড়িতে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ওই এলাকায় ভারতের অনেক সাবেক ও বর্তমান এমপির বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়।

শেখ হাসিনা বাইরে বের হন কি না জানতে চাইলে সূত্রটি দ্য প্রিন্টকে জানায়, বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।

ভারত সরকার শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত আগস্টে পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা ‘এই মুহূর্তে’ ভারতে আসার অনুমতি চেয়েছেন।

ছাত্র–জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান

শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির নেত্রী। টিউলিপ সিদ্দিক এ সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। তবে তিনি তার বোনের সাথে বাড়িতে রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরমধ্যে সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন জানিয়ে গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কিন্তু আড়াই মাসের ব্যবধানে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বললেন তিনি। মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।

তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াও হয় বেশ কড়া। দাবি ওঠে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।

এদিকে, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনকারীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বহু মামলা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর