লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে মাইশা পরিবহন নামের একটি লোকাল বাসে গ্যাস দেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ২০ জনের মধ্যে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারো হাত এবং কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচলকারী মাইশা পরিবহন নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রীণলিফ গ্যাস স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলেন্ডারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন গ্যাস নিতে আসা একাধিক সিএনজি চালকসহ ২০ জন।
পরে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার দাস।
এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নুল আবেদিন বলেন, ফিলিং স্টেশনে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই চিকিৎসক বলেন, দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, অনেকের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেকে মারাত্মক জখম হয়েছেন।