ঢাকা | সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ
জাতীয়‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ’

‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ’

spot_img

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহ বাংলাদেশের পাশে আছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে চলেছে। ক্রমাগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের টেকসই, নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে সব ধরনের মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা ও সমর্থন প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও উক্ত দেশসমূহে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য দেশে নতুন শ্রমবাজার বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ল্যাটিন এবং আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি। দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো যেমন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, চিলি, উরুগুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুবই সীমিত পরিমাণে হয়ে থাকে, যেমনটি রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলোতেও। অথচ বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা ক্ষেত্রে এ অঞ্চলগুলো অনেক সম্ভাবনাময়। তাই নিয়মিত অংশীদারদের বাইরেও এখন সম্ভাবনাময় ও অনুদঘাটিত গন্তব্যসমূহের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিল, মেক্সিকো, এসোয়াতিনি, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি সফরেই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা গেছে।’

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর