রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা একটি মিথ্যাচার, এটা ওনার (রাষ্ট্রপতির) শপথ লঙ্ঘনের শামিল বলে মন্তব্য করেছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেই মন্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে তিনি বিষয়টি জানান।
গত দুদিন ধরে রাষ্ট্রপতি নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক হচ্ছে। একজন উপদেষ্টা তিনি মিথ্যাচার করেছেন মর্মে রাষ্ট্রপতি থাকতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এটা কি ওনার ব্যক্তিগত মতামত নাকি প্রধান উপদেষ্টা অফিসসহ পুরো উপদেষ্টা কাউন্সিলের মতামত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যা বলেছেন সেটার সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে।
রাষ্ট্রপতিকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতিকে সরানোর চিন্তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব বলেন, ভবিষ্যতের টা ভবিষ্যৎ বলে দেবে।
রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ৫ আগস্ট উনি নিজের মুখে ভাষণে উনার কাছে পদত্যাগপত্র (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার) দেওয়া এবং গ্রহণ করার কথা বলেছেন। একের পর এক কার্যাবলির মধ্য দিয়ে পুরো জাতির কাছে এটি স্পষ্ট যে উনি পরিষ্কার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন। আজ যদি উনি বলেন– প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দেননি, এতদিন পরে, প্রায় আড়াই মাস পরে, তাহলে এটা এক ধরনের স্ববিরোধিতা হয়। এটায় উনার শপথ লঙ্ঘন হয় এবং এই পদে উনার আর থাকার যোগ্যতা আছে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি। এটা একটি মিথ্যাচার। এটা হচ্ছে উনার (রাষ্ট্রপতির) শপথ লঙ্ঘনের শামিল।
উল্লেখ্য, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।