বলিউডের গ্রিক গড হৃতিক রোশন অভিনীত প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হে’। যে সময় ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল, সে সময় শাহরুখ খান জনপ্রিয়তার মধ্যগগনে বিরাজমান। হৃত্বিকের মতো একজন সুদর্শন নায়কের আগমনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছিল শাহরুখের জনপ্রিয়তায়। এমনটা মনে করেছিলেন অনেকেই।
প্রথম ছবির জনপ্রিয়তা পেতে না পেতেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন হৃতিক রোশন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সুজান খানকে বিয়ে করেন তিনি। শুরু হয় তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু ১৪ বছর সম্পর্কটাও আর টেকেনি। প্রথম প্রথম এ বিষয়ে কিছুই বলেননি হৃতিক-সুজান।
২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন তারা। ২০১৪ সালে আইনিভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। দুই সন্তানের বাবা-মা তারা। বৈবাহিক সম্পর্ক নেই, তবে সন্তানদের স্বার্থে বিচ্ছেদের পরও বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।
বিচ্ছেদের পর নিজের জীবনে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছেন সুজান। নতুন করে ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন। তাতেই খুশি সুজানের মা। তবে জামাই হিসেবে বা মানুষ হিসেবে হৃতিকের তুলনা নেই, সে কথাও স্বীকার করে নিলেন অভিনেতার প্রাক্তন শাশুড়ি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুজানের মা বলেন, ‘আজ হয়ত ওদের সম্পর্ক নেই। তবে হৃত্বিক সারাজীবন আমার ছেলে হয়ে থাকবে, আমার স্নেহ পাবে। ও অসম্ভব ভাল মানুষ। ওরা দু’জন স্বামী-স্ত্রী না থাকলেও ওদের বন্ধুত্ব আগের মতোই অটুট। ওরা সন্তানদের মধ্যে দু’জনের ভাল গুণগুলি সঞ্চারিত করতে পেরেছে। আমি খুশি ওরা পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে সবটা করেছে।’
পাশাপাশি আর্সলান-সুজানকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের ভবিষ্যতের জন্য। আগামী দিনে তারা যাতে সুখী হন সেই কামনাই করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত দু’বছর ধরে গায়িকা, বাচিক শিল্পী ও অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অভিনেতা হৃতিক রোশান। খ্যাতনামী তারকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতেই রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন সাবা।