ঢাকা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫:২৪ অপরাহ্ণ
শিক্ষাক্যাম্পাসযুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নোবিপ্রবির প্রভাষক আহত, নিহত ছেলে

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নোবিপ্রবির প্রভাষক আহত, নিহত ছেলে

spot_img

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষিকা ড. সালমা আক্তার (৩৩) ও তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিন (৩২) গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছে তাদের ১১ মাস বয়সী একমাত্র ছেলে অনিন্দ। বর্তমানে ড. সালমা আক্তার স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বামীও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (২৮ মে) টেক্সাসের সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ড. সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি জাপানে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডকের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে যান। তিনি সেখানকার সান আন্তিনো শহরে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে বের হন সালমা আক্তার। মঙ্গলবার বাসায় ফেরার পথে সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক ছেলে অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি সালমা আক্তারকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে। এছাড়াও তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা শহিদুল হক বলেন, সালমার সাথে আমার সব সময় কথা হতো। সে আমাকে জানিয়েছিল ঘুরতে বের হবে। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তার সন্তান অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সালমাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।

নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ব্যাচের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর ২০১৯ সালে জাপানে পিএইচডি করতে যান। সেখান থেকে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডক করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সালমা আক্তারের এমন দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। তার সুস্থতা কামনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং পরবর্তীতে শিক্ষক হওয়ায় সালমা আক্তারের এমন দুর্ঘটনায় আমরা সবাই শোকাহত। এই মুহূর্তে তার স্বামীর সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, সালমা আক্তারের একমাত্র সন্তানের মৃত্যু ও ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সালমা আক্তার ও তার স্বামী সাইফুল আমিনের সুস্থতা কামনা করছি। আমরা সব সময় তার পাশে আছি।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর