দলে ছিলেন না আল হিলালের তারকা নেইমার জুনিয়র। ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরের আছেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার দলে থাকলে হয়তো লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে মাঠে বেশ দারুণ কিছু মুহূর্ত দেখা যেতো। বার্সেলোনার হয়ে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন তিন তারকা। বার্সা ছাড়ার পর আর মাঠে একসঙ্গে তাদের দেখা যায়নি। এবার দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে তাদের মিলন হলো না।
দলে তিন তারকার মিলন না হলেও দারুণ একটি খেলা উপভোগ করতে পেরেছেন দর্শকরা। পুরো ম্যাচ গোল হলো ৭টি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিংডম অ্যারেনায় রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের রাতে নেইমারের ক্লাব আল হিলালের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে গেলো মেসি ও সুয়ারেজের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি।
মিয়ামিতে সুয়ারেজের অভিষেকের পর দুটি মেসিরা খেলেছেন আরও দুটি ম্যাচ। তবে কেউই গোল করতে পারেনি। একটিতে হেরেছে মেসির মিয়ামি। আরেকটিতে করেছে গোলশুন্য ড্র। এবার মেসি-সুয়ারেজের জুটিতে তৃতীয় ম্যাচেও জয়হীন মিয়ামি।
তবে আল হিলালের বিপক্ষে ক্লাব-ফ্রেন্ডলি ম্যাচে গোল পেয়েছেন মেসি-সুয়ারেজ। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি বার্সেলোনার একসময়ের দুর্দান্ত জুটি। শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে গেছে ইন্টার মিয়ামি। ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ছিল ৩-৩ সমতায়। তখন মেসিকে তুলে নেন মিয়ামি কোচ। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা মাঠ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোল হজম করে মিয়ামি। বক্সের মাঝখান থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন আল হিলাল তারকা ম্যালকম। তার গোলেই জিতে যায় আল হিলাল। নির্ধারিত সময় শেষ করে অতিরিক্ত আরও ৭ মিনিট খেলা হলেও সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি মিয়ামি।
রিয়াদের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে মেসি-সুয়ারেজ গোল করার আগেই দুটি গোল হজম করে মিয়ামি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে মেসির দল। এর তিন মিনিট আবার গোল করে নেইমারের ক্লাব। এবার ২-০ তে এগিয়ে যায় আল হিলাল।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ইন্টার মিয়ামিতে অভিষেকের পর প্রথমবারের মতো গোল করেন সুয়ারেজ। ফলে ব্যবধান ২-১ হয়। সুয়ারেজের গোলের ১০ মিনিট পর আবার গোল হজম করে মিয়ামি। ফলে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-১। বিরতির এক মিনিট বাকি থাকতে আল হিলালের হয়ে গোলটি করেন মাইকেল ডেলগাডা।
বিরতির পর মাঠে ফিরেই গোল করেন মেসি। বক্সের ভেতরে আল হিলাল ফাউল করায় পেনাল্টি পায় মিয়ামি। সেই পেনাল্টিকে গোলে পরিণত করেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এর ১ মিনিট পর আবার গোল পায় মিয়ামি। এবার গোল করেন ডেভিড রুইস। ফলে ৩-৩ গোলে সমতায় ফেরে মিয়ামি। এরপর আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে চলতে থাকে খেলা। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল হজম করে অবশেষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হেরে মাঠ ছাড়ে মিয়ামি।