ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘মার্চ ফর রেজিগনেশন’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২.০০ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবি এর নেতৃত্বে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নোবিপ্রবি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে শেষ হয়।
পরবর্তীতে শহীদ মিনারের পাদদেশে ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে গণ-স্বাক্ষর করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবি সময়ন্বয়ক বনি ইয়ামিন, মাহমুদুল হাসান আরিফ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মহসীন, আল-জকি হোসেন সহ মারুফা আকতার, সীমান্ত, জানে আলম ও অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘মার্চ ফর রেজিগনেইশন’ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা বনি ইয়ামিন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল নোবিপ্রবির ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি। যে যেভাবে পেরেছে লুটেপুটে খেয়েছে। তাদের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমে গিয়েছে, র্যাংকিং এ পিছিয়ে পড়েছে।’
আরেক সমন্বয়ক মারুফা আকতার বলেন, ‘যখন আন্দোলন চলছিলো এই স্বৈরাচারী ভিসি আমাদের মেয়েদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। গভীর রাত্রে আমার বোনদের হলে থাকতে দেয়নি। এই ভিসি কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব ছিলেন না। আমরা চাই শিক্ষার্থীবান্ধব হবে এমন ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিক।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবি এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘ভিসি দিদার এবং প্রো-ভিসি বাকী এদের সাথে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নাই। এরা নির্লজ্জ, বেহায়া, স্বৈরাচারীর দোসর৷ তারা আমাদের ভাইদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছিলো, আমাদের ভাইদের রক্তে যখন রাজপথ রঞ্জিত তখন তারা কেক কাটে। তাই অনতিবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে ছাত্রসমাজ যখন আগুনে জ্বলে উঠবে তাদেরকে ফিনিক্স পাখির মতো নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।’