![](https://i0.wp.com/muktokolom.news/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=696&ssl=1)
রিজওয়ান ইসমাম তাসপি। অন্য সবার মত নয়। শারিরিকভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সরকারী মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তাসপি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়াডের বাসিন্দা। পিতা মোশাররফ হোসেন ভূইয়া একজন সরকারির চাকরিজীবি এবং মাতা শাহানাজ পারভীন একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা।
তাসপির নিত্যসঙ্গী ছিলো মা শাহনাজ পারভীন। মা শাহনাজ পারভীন বই পড়ে ছেলেকে শোনাতেন। মায়ের মুখে শুনে শুনে পড়াশোনা করতো তাসপি। স্কুল-কলেজেও মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের আলোচনা শুনতো এবং বাসায় এসে শোনার জন্য রেকর্ড করে নিতো।
জিপিএ -৫ পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে তাসপি বলে, আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি আমি এতে খুব খুশি। বাবা- মা ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় আমি এই ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছি এজন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি যেন আরও ভালো ফলাফল করে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
তাসপির মা শাহনাজ পারভিন বলেন, আমার হাত ধরে তাসপি স্কুলে যাতায়াত করতো। ছেলের পড়াশোনার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে। সে প্রচণ্ড মেধাবী ফলে কোনো পড়া একবার শুনলে তার মুখস্থ হয়ে যেতো। জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। এসএসসি পরীক্ষায় শ্রুতিলেখক গণিতে সঠিকভাবে না লিখতে না পারায় জিপিএ-৫ পায়নি। এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় রিজওয়ানকে শ্রুতিলেখক হিসেবে সহযোগিতা করেন তার থেকে তিন শ্রেণী নিচের স্থানীয় মাকসুদা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেজওয়ানা শারমিন শর্মিলী। ছেলের সফলতায় আমরা গর্বিত।