ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সব গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সীমান্ত হত্যা কীভাবে বন্ধ এবং বিচার নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের করা গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ হোক।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল যে হামলাটি হয়েছে এবং রিসেন্ট যে সাম্প্রদায়িক ইস্যু বিশ্বে সবার কাছে তুলে ধরা হচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদে আছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা হয়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের সাধারণ জীবন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষের শঙ্কা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিস্তার পানির ন্যায্য বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে বলেছি। বাংলাদেশের প্রত্যেকের সাম্য এবং মর্যাদার ভিত্তিতে জীবন যাপন করছে এটি আরও প্রচার কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
৫ আগস্টের আগে যে একতা তৈরি হয়েছে তা এখনো ভাঙেনি উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেছেন। তারা বলেছেন এদেশে কোনো সম্প্রদায়িক দাঙ্গা নেই। সকল ধর্মের সকল জাতির লোকজন মিলেমিশে এদেশে একতাবদ্ধ আছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের স্পষ্ট বলতে চাই সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, অখণ্ডতার প্রশ্নে সব ধর্মের সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াই করব।
ভারতকে উদ্দেশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সংখ্যালঘু ট্রাম্প কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বুঝাতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ যতদিন ছিল ততদিন তারা নিরাপদ ছিল। আমরা ভারতকে বলতে চাই ভারত সংখ্যালঘুদের যে নির্যাতন করেছে তা উদাহরণ হিসেবে দেয়া যায়। আপনারা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে না দেখে, জনগণের দৃষ্টিতে দেখে সরকারের সঙ্গে ন্যায্য ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রাখুন।
তিনি আরও বলেন, ভারত সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তার বিপরীতে আমাদের প্রচার করতে হবে বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ বিশ্বদরবারে সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে। জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে।