চট্টগ্রাম জেলার শতাধিক গ্রামে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফি মাযহাবের অনুসরণে ঈদ পালন করে থাকেন। যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুইশত বছর ধরে এভাবেই ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং চন্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব অনুশাসন পালন করে আসছেন তারা।
দরবারের সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে আগামীকাল বুধবার সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.) এর তত্ত্বাবধানে উনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসকামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুরশহ শতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন করবে দরবারের অনুসারীরা।
ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের আওলাদ মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফি মাযহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং পূর্বের দেশসমূহের চন্দ্র দর্শন বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের হিসেবে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা ও মদীনা শরীফে তথা আরব বিশ্বের চাঁদ দেখার খবর এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জ্ঞাত হয়ে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো।’