আগামী ২ জুন বিশ্বকাপ শুরু হলেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৮ জুন। বিশ্বকাপের এখনও অনেকটা সময় বাকি থাকলেও বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগামী ২ জুন বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।
এদিকে, দেশ ছাড়ার আগে গতকাল রাত বাড়তেই বিমানবন্দরে পরিবারকে নিয়ে হাজির হন তাসকিন–সৌম্য ও লিটন দাসরা। যেখানে টাইগার সমর্থকদের ভিড়ের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ সময় কেউ তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফির আবদার মিটিয়েছেন, আবার কেউবা শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার আশায়। এর আগে এদিন দুপুরে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সেরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শের–ই বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের সেই হাস্যোজ্জ্বল ছবি টুর্নামেন্ট শেষেও অটুট দেখতে চান সমর্থকরা।
দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানান, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা আমেরিকায় বোধহয় আগে ম্যাচ খেলিনি। সেখানে খেলা সবার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ঐখানকার কন্ডিশন ও আবহাওয়া, ভিন্ন টাইম জোন– সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নেয়া জরুরি। আমরা সব ম্যাচই জিততে চাই। ওয়ার্ক লোডের কথা মাথায় রেখে মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে হবে। শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামের পাশাপাশি কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার দিকেই মূল মনোযোগ থাকবে।’
এ ছাড়া নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অধিনায়ক শান্ত বলছিলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই নিশ্চয়ই ভালো প্রত্যাশা করে, আমিও করি। আমার মনে হয়, আমরা যদি সুন্দরভাবে ছোট ছোট চিন্তা করে আগাই, তাহলে ভালো হবে। আমরা যে গ্রুপে আছি, সেটাকে খুব সহজ বলব না। গ্রুপ পর্বটা পার করতে পারলে ভালো হবে। এরপর দেখা যাবে। আশা তো করছি এবার ভালো কিছু হবে। প্রস্তুতি ও সমন্বয় মিলিয়ে মনে হচ্ছে, আমাদের দলটা খুব ভালো। তবে নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলাটা জরুরী। আশা করছি, এবার সবাই সেটা করবে।