দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেন।
সভায় উপস্থিত কুমিল্লার একটি আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন যেন প্রতিযোগিতামূলক হয়, বিরোধীদের অংশগ্রহণ যেন থাকে তা নিশ্চিত করতে। কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো আসনে যেন একক প্রার্থী না থাকে।
ঢাকার একটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেত্রী জানান, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজনে ‘ডামি প্রার্থী’ রাখতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও সে অনুযায়ী ভোটকে সুষ্ঠু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সভায় উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন৷
সভায় উপস্থিত একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, নেত্রী বলেছেন, আপনারা সাড়ে তিন হাজারের মতো প্রার্থী। এর মধ্যে থেকে আপনারা আমাকে তিনশো নাম দেন। এমন কথার জবাবে সবাই প্রার্থী বাছাইয়ে নেত্রীকে দায়িত্ব দেন। পরে নেত্রী নির্দেশনা দেন, কোন আসনে যেনো একক প্রার্থী না থাকে। বিরোধীদলীয় প্রার্থীদেরকেও যেনো সহযোগিতা করা হয় ও ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আনার ব্যাপারে কাজ করতে নেতাকর্মীদের বলা হয়।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এই চার দিনে মোট তিন হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে ১২১ জন ফরম কিনেছেন। ফরম বিক্রি করে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে দলটির।
এর আগে, ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।