ঢাকা | সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ
সারাদেশবান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ সদস্য নিহত

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ সদস্য নিহত

spot_img

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) এক সদস্য নিহত হয়েছে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অভিযানে বেশ কয়েকটি অস্ত্র, বিপুল গোলাবারুদ ও একটি ড্রোন উদ্ধার হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার রুমা উপজেলার দার্জিলিং পাড়ায় সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ৫ টি বি টাইপ টহল দলের সমন্বয়ে বিশেষ অভিযানটি বিকেল ৫টায় দার্জিলিং পাড়া এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এ সময় টহল দলটির সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে কেএনএ–এর একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহারকৃত বাঙ্কার, পর্যবেক্ষণ চৌকি ছাড়াও ৩টি একে-২২ রাইফেল, ১ টি শটগান, ৭১ রাউন্ড তাজা এ্যামোনিশন, ১৫৭ রাউন্ড শটগান এ্যামোনিশন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি, ১ টি ড্রোন, ৩টি জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও মোবাইল ফোন সহ ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।

গত এপ্রিলে সেনা অভিযানে আরও ৩জন কেএনএ সদস্য নিহতের কথা জানিয়েছিল আইএসপিআর।

গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। এসময় মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

৪ এপ্রিল রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত বলে পরে জানা যায়। কেএনএ হলো কেএনএফের সামরিক শাখা।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কেএনএফের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমসহ প্রায় বহু সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে অনেক নারী সদস্যও আছেন।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর