ঢাকা | সোমবার | ৮ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১:১১ অপরাহ্ণ
প্রচ্ছদবান্দরবানে আরও দুই ব্যাংকে ডাকাতি

বান্দরবানে আরও দুই ব্যাংকে ডাকাতি

spot_img

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতে জেলার আরেক উপজেলা থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচি বাজার এলাকায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

দুপুর ১টার দিকে থানচি বাজারে ঢুকে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় হামলা চালায়। এ সময় বাজার এলাকায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে তারা। এতে আতঙ্কে সবাই পালাতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ত্রাসীরা দুটি ব্যাংকে লুটপাট চালিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, সকালে সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক-এ পৃথকভাবে হামলা চালায়। কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জিম্মি করে সেনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যপারে এখনই কিছুই বলতে পারছি না। বর্তমানে উপজেলা সদরে পুলিশ ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলে আছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত। এ সময় তারা মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজারকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এদিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী ইশফাত বলেন, কোনো পক্ষ এখনো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কোনো মুক্তিপণও দাবি করেনি। তিনি তার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

নিজাম উদ্দিনের বড় ভাই চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানার এসআই মিজান উদ্দিন বলেন, আমি এখন রুমায় আছি। ভাইয়ের এখনো কোনো খবর পাইনি।

সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চলছে বলেও জানা গেছে।

ব্যাংকে ডাকাতি ও ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’-এর জড়িত থাকার কথা উঠছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, নানা ইঙ্গিতে নামগুলো উঠে আসছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জানানো হবে।

জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, হামলাকারীরা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যের অস্ত্র-গুলিও লুট করেছে। যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর