২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা ৪০ মিনিটে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার ঠোটাপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান ঢাকার পল্লবীস্থ আদর্শনগরের নিবাসী মো. আলাউদ্দিন খাঁ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। আজ শুক্রবার বাদ মাগরিব রাজধানীর পল্লবীস্থ আদর্শ নগরের নিজ বাসভবনে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও স্মরণ সভার মধ্য দিয়ে ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিক পালিত হয়।
আমাদের এই রাজা মানুষকে আনন্দ দিতে কোনো দিনই বেইমানি করেনি। বরং এই রাজা দেশের অসংখ্য ক্রিকেট প্রেমী, বই প্রেমীদেরকে বাংলা একাডেমীর মেলা চত্বরে ভাষা শহীদদের ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপন মনে বছরের পর বছর বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ দিয়ে গেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত বংশীবাদক মো. আলাউদ্দিন খাঁ বিশেষ বিশেষ দিনে রাজার পোষাক পড়ে (যেমন: একুশে ফ্রেব্রুয়ারী, বিজয় দিবস এবং ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিন) মনে করিয়ে দিতেন বাংলার সেই নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে।
এই রাজা দেশের জন্য ৮নম্বর সেক্টরে আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের মানুষকে আনন্দ দিতে রাজার পোশাক পরে এক অনুষ্ঠান শেষ করে আরেক অনুষ্ঠানে যেতেন বিনা আমন্ত্রণেই। তিনি বাঁশি বাজানো শিখেছিলেন বিখ্যাত বংশীবাদক আব্দুর রহমানের কাছ থেকে।
বংশীবাদক রাজা আলাউদ্দিন খাঁনের ব্যাপারে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন, একজন আদর্শবান ব্যক্তির কখনও মৃত্যু হয় না। তিনি তার সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম, ত্যাগের মহিমা ও নৈতিকতার মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। মৃত্যুবার্ষিকী ও স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বংশীবাদক রাজার বড় ছেলে জুয়েল ,ছোট ছেলে জিল্লুর রহমান, আদর্শনগর প্লট মালিক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. বাচ্চু বেপারী, জনস্বার্থে বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন হোসেন প্রমুখ।