ফেনীতে টেপ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামে এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলার পরশুরাম পৌর এলাকার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লামিয়ার বাবা নবী গ্রামীণ প্রোগ্রেস ডিজিএমের গাড়ির ড্রাইভার। স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটে। কিছু দিন আগে আগের স্ত্রীকে তালাক দেন নবী।
স্থানীয় কাউন্সিলর সুমন জানান, নবীর দুই সংসার। তার দুই মেয়ে লামিয়া ও ফাতেমা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়া বাসায় থাকত। লামিয়ার সৎ মা ডাক্তার দেখানোর জন্য ফেনী যায় সকাল ১০টায়। আর নবী চাকরির কাজে ফেনীতে চলে যায়। দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি বৈদ্যুতিক কাজের কথা বলে ঘরের দরজা খুলতে বলে। অবুঝ দুই বোন দরজা খুলে দেয়। দুর্বৃত্তরা দুই বোনকে মারার জন্য চেষ্টা চালায়। তাদের হাত থেকে পালিয়ে বড় বোন ফাতেমা বিবস্ত্র অবস্থায় পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
সুমন আরও জানান, নিহত বোনের নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ফাতেমা। বর্তমানে সে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ছোট বোন লামিয়াকে হাত–পা বেঁধে টেপ দিয়ে নাক, মুখ, চোখ এবং মাথা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
নিহত লামিয়ার মা ও নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তারের অভিযোগ, নুরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে তার মেয়ে লামিয়াকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করেছে।
ছাগলনাইয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ালী উল্যাহ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পিতা-মাতার দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।’