মৌলভীবাজারের বড়লেখার টেকাহালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুষ নিয়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক প্রণয় রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে। পরে তিনি এমপিওভুক্ত করার নামে আরও টাকা দাবি করলে দিতে অপারগতা জানালে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন নৈশপ্রহরী বশির উদ্দিন। তবে এসব অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের কাছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টেকাহালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণয় রঞ্জন দাস নৈশপ্রহরী পদে বশির উদ্দিনকে চাকরি দিতে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে চার লাখ টাকায় দেওয়ায় হয় চাকরি। বশিরকে নিয়োগ দিতে প্রধান শিক্ষক নিজেই জাল সনদ প্রদান করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরে তিনি স্কুলে নৈশপ্রহরী পদে যোগ দেন।
এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রায় দেড় বছর বিনা বেতনে চাকরি করেন বশির। পরে এমপিওভুক্ত করার নামে আবারও দুই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নৈশপ্রহরী বশিরকে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক প্রণয় রঞ্জন।
নৈশপ্রহরী বশির উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক চাকরি দিতে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে চার লাখ টাকায় রাজি হয়। সাক্ষাৎকারে প্রথম হওয়ায় আমাকে নিয়োগ দেন। প্রায় দেড় বছর বিনা বেতনে অফিস করেছি। এমপিওভুক্ত করার নামে আরও দুই লাখ টাকা চান তিনি।
তিনি আরও বলেন, টাকা দিতে পারব না বলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হুমকি দিচ্ছেন। আমি ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত চাই।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রণয় রঞ্জন দাস বলেন, বশির উদ্দিনের কাগজপত্রে জটিলতা থাকায় তার এমপিও হচ্ছে না। নৈশপ্রহরীর বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও তাকে জাল সনদ প্রদানের কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। কাগজপত্রে জটিলতা থাকার পরও সাক্ষাৎকার ও নিয়োগপত্র প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে অভিযোগটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।