ঢাকা | সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
আন্তর্জাতিকপ্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ঘোষণা করল ইমরান খানের দল

প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ঘোষণা করল ইমরান খানের দল

spot_img

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মহাসচিব ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওমর আইয়ুব দেশটির সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের নাতি। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে কথা বলার পর দলটির নেতা আসাদ কায়সার এই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, রয়টার্সের।

আসাদ কায়সার বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে পিটিআই। এই বিক্ষোভের তারিখ আজই প্রকাশ করবেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা।

কায়সার বলেন, তাকে নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে আসা সব রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য ‘‘অ্যাসাইনমেন্ট’’ দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে জেইউআই-এফ, এএনপি ও কিউডব্লিউপির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান।

আসাদ কায়সার বলেন, পিটিআইয়ের মহাসচিব ওমর আইয়ুব প্রধানমন্ত্রী পদে দলের প্রার্থী হবেন। এছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে পিটিআই। এই বিক্ষোভের তারিখ প্রকাশ করবেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা (ইমরান খান)।

তিনি জানান, নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, বিশেষ করে জেইইউআই-এফ, এএনপি এবং কিউডব্লিউপি’র সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

কায়সার বলেন, আমরা চাই, সবাই একটি কৌশল তৈরি করি। কারণ জনতার রায় চুরি করা হয়েছে। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ এবং সবচেয়ে বেশি কারচুপির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব ছিল।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত ওমর আইয়ুব ২০১৮ সালে ইমরান খানের হাত ধরে পিটিআইতে যোগ দেন। ইমরানের সরকারে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। প্রথমে বিদ্যুৎমন্ত্রী, এরপর পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এবং সবশেষ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওমর।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের ৯২টি আসনে জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৯টি ও বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩টি আসনে জয় পেয়েছে।

দেশটিতে কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ব্যাপক রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

এর মাঝেই দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে পিএমএল-এন এবং পিপিপি তাদের সংসদীয় অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলে ভেড়ানোর জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

দেশটির সংবিধানে বলা আছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অথবা নির্বাচনের দিন থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় পরিষদে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত। জাতীয় পরিষদে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনুযায়ী এসব আসন বণ্টন করা হয়।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর