কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেনী মহিলা কলেজের কেউই পাস করেননি। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতদিন ধরে কলেজটি থেকে শতভাগ পাস না করলেও ফলাফল ছিল সন্তোষজনক। তবে করোনাকালীন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এবছর আবার নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফলাফলের বিষয়টি স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার সময়ে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে জটিলতায় এ ৩ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তবে এ শিক্ষাবর্ষে নতুন ব্যবস্থাপনায় ও একদম নতুন আঙ্গিনায় আবারও পুরোদমে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কলেজে চলতি বর্ষে ৯৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে জানান তিনি।
এদিকে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফেনীতে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৭ জন।
প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, এবারের পরীক্ষায় জেলার ৪২টি কলেজ হতে ১০ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬ হাজার ৯৪৩ জন। মাদ্রাসা বোর্ড থেকে আলিম পরীক্ষায় ফেনীতে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জেলায় ১ হাজার ৯১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৪৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫ জন।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ৭৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ পাসের হার নিয়ে ফলাফলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ফেনী সদর উপজেলা। উপজেলার ১৯টি কলেজ হতে ৫ হাজার ৬২২ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪ হাজার ২১৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮২ জন। ২য় স্থানে রয়েছে ছাগলনাইয়া উপজেলা৷ পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ উপজেলার ৬টি কলেজ হতে ১ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৮০২ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছেন ২৩ জন। ৩য় স্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা, পাসের হার ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ উপজেলায় ৫টি কলেজ হতে ১ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮২৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন।
ফলাফল বিবেচনায় জেলায় সর্বোচ্চ ১৭২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ফেনী সরকারি কলেজে। এ কলেজ হতে ১ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ হাজার ৩১৬ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ।
জেলায় বরাবরের মতো শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে ৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছেন।