জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়ায় মো. শ্রাবণ (২০) নামে এক যুবক বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শ্রাবণ মেলান্দহ পৌরসভার শ্যামপুর এলাকার মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রাবণ বিয়ে করবেন বলে পরিবারকে জানান। পরে পরিবারের লোকজন কিছুদিন পর বিয়ে করতে বলেন। এর মধ্যেই কয়েকদিন আগে একটি মেয়ে দেখেন পরিবারের লোকজন। শ্রাবণের ওই মেয়ে পছন্দ হলেও তার পরিবারের লোকজন সেই বিয়েতে রাজি হননি। এ নিয়ে শ্রাবণের সঙ্গে বড় বোনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে অভিমান করে গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে গিয়ে বিষ পান করে বাড়িতে আসেন শ্রাবণ। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রোববার দিবাগত রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রাবণ টয়লেটে গিয়ে গোপনে পানি পান করেন। পানি পান করার কিছুক্ষণ পরই শ্রাবণের মৃত্যু হয়।
শ্রাবণরা পাঁচ ভাইবোন। চার বোন ও শ্রাবণ। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন শ্রাবণ। বাড়িতেই থাকতেন। জমিজমা দেখাশোনা করতেন।
শ্রাবণের বড় বোন মোছা. আশা বলেন, শ্রাবণ বিয়ে করবে বলে বলছিল। আমরা কিছুদিন পরে বিয়ে করতে বলি। সে মানবে না। এ নিয়ে রাগে অভিমানে বিষ পান করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাব্বির আহমেদ বলেন, শ্রাবণ অনেকটাই সুস্থ ছিল। একাই হেঁটে চলাচল করতে পারত। রাতে পানি খেয়েছিল। আমরা সাধারণত বিষ খাওয়া রোগীদের ৭২ ঘণ্টা পানি না খাওয়ার জন্য বলি। পানি খাওয়ার ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে। পানি খাওয়ার পরেই তার অবস্থার অবনতি হয়।
মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ছেলেটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।