নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) আয়োজনে দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ভিডিও কনফারেন্স রুমে উক্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষন দেন ডেইলি সানের অনলাইন প্রধান মওদুদ আহম্মেদ সুজন, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ এবং এডুকেশন রাইটার অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রফেশনাল সাইফ সুজন।
নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কবীর ফারহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত আহমেদ ফাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. দিদার উল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাসিক সাধারণ সভা, শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের ট্রেনিং, নির্বাচনসহ সকল কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপায়ে নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে। তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসকে সারা দেশের সামনে তুলে ধরছে পাশাপাশি তারা ক্যাম্পাসের সমস্যাগুলোকেও গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তুলে ধরে সমাধানের চেষ্টা করছে।
তিনি আরোও বলেন, অনেক সাংবাদিকরা না জেনে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুলভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেভাবে সহযোগিতা করা দরকার আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে তা অনেক ক্ষেত্রেই করতে পারছি না। আমি নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সকল কাজের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। আশা করছি আজকের কর্মশালার মাধ্যমে অনেক উদীয়মান সাংবাদিক উঠে আসবে যারা ভবিষ্যতে সাংবাদিক সমিতিকে নেতৃত্ব দিবে।
নোবিপ্রবি উপাচার্য ও সাংবাদিক সমিতর প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে শক্তিশালী একটা মিডিয়া। কিছু সাংবাদিক সৎ থাকলেও অনেকেই হলুদে বিশ্বাস করে। খুব সুক্ষ্মভাবে অনেকেই নিয়োগ বানিজ্য করে। আমার কাছে সোজা, আমার কাছে এগুলা নাই। বিগত পাঁচ (৫) বছরে কেউ বলতে পারবে না নারায়নগঞ্জের কাউকে আমি নিয়োগ দিয়েছি। আমি চেষ্টা করি সততার সাথে চলার। কারণ আমার একটা অস্ত্র আছে, সেটি হচ্ছে বিশ্বাস। নীতি অক্ষুণ্ণ রেখে সবাই সাংবাদিকতা করবে আমার বিশ্বাস। সংবাদে অন্ততপক্ষে যেন ৫০ ভাগ সত্যতা থাকে। এর চেয়ে কম হলে সে আমার কাছে ভালো সাংবাদিক না। এটা বলার আমার সাহস আছে কারণ আমি কোন অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত নয় এটুকু বিশ্বাস আমার আছে।