নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত সময়ে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও শিক্ষার্থী নির্যাতনকারী ছাত্রলীগের তালিকা ব্যানার আকারে প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৬ই অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মেইন গেইট, শান্তি নিকেতন, হতাশার মোড়ে প্রথম দফা তালিকা ব্যানার আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিগত আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে, ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিভিন্ন দোকানের মালিক থেকে জোর পূর্বক টাকা আদায়,বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের উপর শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন হয়রানি, ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, ক্যাম্পাসে মাদকের ব্যবসা, হল দখলসহ নানারকম অপরাধমূলক কর্মকান্ড জড়িয়ে ছিলো নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের এইসব নেতাকর্মীরা।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এইসব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর।
এই বিষয়ে মেহেদী হাসান সীমান্ত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন-বিভিন্ন সময়ে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের পদদারীরা চাঁদাবাজি, লুটতরাজ,সন্ত্রাসী, মাদক সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম হল, মালেক হল, খাদিজা হল, বঙ্গবন্ধু হল, বঙ্গমাতা হলে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয়ে সালাম হল এবং মালেক হলে ছেলেরা গাঁজা, মদ এবং জুয়ার আসার বসিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল জুনিয়র ব্যাচ আসতো সেসকল জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কে দিয়ে তারা সিগারেট বা পানি সহকারে অন্যান্য জিনিসপত্র আনাতো এবং তাদেরকে অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট দিবে বলে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে নেওয়া হতো। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসেঞ্জার গ্রুপ বা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের কমেন্টে বা বিভিন্ন গ্রুপে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করেছে, যদি আন্দোলনে যায় তাহলে তাদেরকে পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।।
তাই আমরা শিক্ষার্থীরা তাঁদের নাম ব্যানার আকারে প্রকাশ করছি।