নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা।
এদিন সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়, শোভাযাত্রা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙ্গালীর জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই ভাষণেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিহিত ছিল। আমাদের অনেকের কাছেই এই ভাষণের পেছনের ইতিহাস অজানা। ৭ মার্চের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ৬ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নির্বিচারে বাঙ্গালীদের হত্যা করে। তখন সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিবাদমুখর ভাষণের জন্য, যা হতে পারে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর ৬ মার্চের সেই নারকীয় গণহত্যার সমুচিৎ জবাব। ওইদিনের ভাষণে তিনি পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাঙ্গালীর চেতনাকে জাগ্রত করেন। তাঁর এই ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। বিশ্বের বিখ্যাত কয়েকটি ভাষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বঙ্গন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। এই ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে নতুন করে পরিচিতি লাভ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বঙ্গবন্ধুও ততদিন থাকবে। এই আদর্শকে মেনে যেন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আমরা সেই পথেই এগিয়ে চলেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের সৎ হতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে এই বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশ এগিয়ে যাবে। আজকের এই দিনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান, নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া (সম্রাট), সাধারণ সম্পাদক ইবনে ওয়াজিদ ইসলাম ইমনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।