রাজনীতি থেকে বেশ খানিকটা দূরত্বই বজায় রাখছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাননি তিনি। এরপরই যেন রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেলেন এই তারকা।
যদিও নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী। এমনকি তৃণমূলের হয়ে কোনও প্রচারেও নামেননি তিনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুসরাতের অবতার দেখে রীতিমতো ঘুম হারাম হলো ভক্তদের।
সমুদ্রের পাশে বিচের ধারে নীল বিকিনিতে হাজির হলেন অভিনেত্রী। সেই ছবিই প্রকাশ করলেন ইনস্টাগ্রামে। যা দেখেই হৈ হৈ রব নেটিজেনদের। কারণ কাগজে কলমে এখনও বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত। আর সাংসদের বোল্ড অবতার দেখেই যেন বাক্যহারা নেটিজেনরা।
জানা গেছে, স্বামী যশকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন নুসরাত। নির্বাচনের টিকিট না পেলেও যেন খোশমেজাজেই রয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও নুসরাতর তৃণমূলের প্রার্থী না হতে পারা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
কেন নুসরতকে প্রার্থী করা হল না এবারে? সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায়, এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরাত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকতো এই শাহজাহানের উপরেই।
শাহজাহানকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি যখন উত্তাল তখন একবারের জন্যও সেখানে যাননি নুসরাত জাহান। এমনকি কেন জাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সন্তোষজনক উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাকে। যেসব কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘নুসরাত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার যাওয়া দরকার ছিল।’
সে কারণেই কি তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না এবার? বাদ পড়লেন নুসরত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনটাই। নুসরাতের বদলে এবার বসিরহাটের প্রার্থী হচ্ছেন ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।
উপদেষ্টা সম্পাদক: এএসএম মাঈন উদ্দিন পিন্টু
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ তাওহীদুল হক চৌধুরী
ফোন: ০১৭৯১-২৬৭৭২৪, বার্তা বিভাগ: ০১৮৪৮-৩৩০৬৭৮
ই-মেইল : mail.muktokolom24@gmail.com
Copyright © 2025 মুক্ত কলম নিউজ. All rights reserved.