![](https://i0.wp.com/muktokolom.news/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=696&ssl=1)
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
প্রতিবেশী ভারত সফর শেষে বাংলাদেশে পৌঁছে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পক্ষের সাথে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সফরে আসার আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসকে বিশেষ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি দলটির প্রধান উজরা জেয়া।
বুধবার (১২ জুলাই) হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইন সংস্করণে সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের পররাষ্ট্রবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল এইচ লস্কর যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার কাছে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে জানতে চান। এসময় উজরা বলেন, আমরা বাংলাদেশের সরকারের সাথে বিভিন্ন বিষয়, যেমন মানবিক সহযোগিতা, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জোরদার আলোচনার অপেক্ষায় আছি।
আন্ডার সেক্রেটারি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। যা আমাদের কয়েক দশকের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদারত্বেরও বিষয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারত্ব বজায় রাখতে শ্রম অধিকার এবং শ্রমিকদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার অধিকারের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদান সীমিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে উজরা জেয়া বলেন, আমি আপনাকে সরকারি সেই ঘোষণার কথা বলব; যেখানে আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। একেবারে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে এই ভিসা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য জরুরি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়; তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।