নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
২ সেপ্টেম্বর ( রবিবার) রেজিস্টার মোহাম্মদ তামজিদ হোছাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আগামী তিন বছরের জন্য তাকে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিজ দায়িত্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যোগদানের তারিখ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তিনি নির্ধারিত ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক চেয়ারমান ফিসারিজ এন্ড মেরিন সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন।
নিয়োগ পাওয়ার পর সহযোগী অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০১৬ সালে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম আমি এ ডিপার্টমেন্টের। তারপর ২০১৯ সালে দেশের বাইরে চলে যাই। ২০২২ সালে এসে আমি ডিপার্টমেন্টর অবস্থা দেখে খারাপ লেগেছিল। যে অবস্থায় রেখেছিলাম তেমনি ছিল, কোনো উন্নতি হয়নি। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ডাউন হয়েছে। এখন চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার ডিপার্টমেন্ট প্রায় এক থেকে দেড় বছর মতো সেশন যত পড়ে আছে। এটা কিভাবে মিনিমাইজ করা যায় সেটা আমার সবচাইতে বড় মাথাব্যথা। হয়তো এক বছরে পারা যাবে না কিন্তু প্রত্যেক বছরই যদি দুই মাস করে গ্যাপটা কমিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা করব। এভাবে ৩-৪ বছরের মধ্যে এটা জিরো লেভেলে নিয়ে আসতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। নতুন যে ব্যচগুলো আসবে তারা যেন কোন সেশন জোটে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করব। আমাদের শিক্ষক সংকট আছে তার ওপর তিনজন শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে আছে। সুতরাং এটা করতে গেলে শিক্ষকদের উপর একটু চাপ পড়বে।
তিনি আরো বলেন,” আমাদের পর্যাপ্ত জায়গার ও সংকট রয়েছে। এটা তো প্রশাসনিক বিল্ডিং। আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন আমাদের জায়গা বাড়ানো যায়। একাডেমিক বিল্ডিংয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কিভাবে এখানে একটু গুছিয়ে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে চেষ্টা করব। এটা ল্যাব ওরিয়েন্টেড সাবজেক্ট সুতরাং কিভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে না পারলেও অন্তত মিনিমাম জ্ঞান দেওয়া যায় সেটার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
সব মিলিয়ে কিভাবে প্রশাসনের সাহায্যে একাডেমিক সেশনজট দূর এবং ল্যাব গুলোকে আর উন্নত করা যায় এই দু’টোই আমার মূল টার্গেট।”